চীনের উহান শহরের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর নিজের মুখেই শুনুন কিভাবে তিনি নিজেকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করেছেন। তার ইংরেজীতে লেখা বিষয়টি অনুবাদ করে নিচে হুবুহু দেওয়া হলো।
বিসমিল্লাহ। চীনের উহান শহরে লকডাউনের কয়েক দিন পরেই আমি আমার আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে মাথা ব্যাথা অনূভব করলাম। এর সাথে সাথে আমি জ্বর এবং শ্বাসকষ্টেও ভোগা শুরু করলাম।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শয্যাশায়ী হবার সাথে সাথেই বুঝতে পারলাম খুব খারাপ কিছু একটা ঘটেছে। ডাক্তার আমাকে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিলেন।
কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন সময়ে কিছু জিনিস আমাকে সাহায্য করেছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে আজকেই বের হয়ে কথাগুলো শেয়ার করছি, যাতে অন্যরাও এর থেকে উপকৃত হতে পারেন।
(১) রাসূল (সাঃ)’র হাদিস অনুযায়ী, আমি নিয়মিত মধুর সাথে গোল মরিচ খাওয়া শুরু করলাম। মধুতে নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে আর গোলমরিচ এন্টি-ইনফ্লেমেটরি (প্রদাহ প্রতিরোধক)।
(২) দৈনন্দিন কুরআনিক এবং মাসনূন দু’আ সমূহ।
(৩) হলুদ (এর নিরাময়কারী গুনাগুনের জন্য)
(৪) কালোজিরা(তেল)
এক সন্ধ্যায়, আমি ভাবলাম অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া আমি আর শ্বাস নিতে পারব না। হাসপাতালের জন্য বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তেই, আমি আল্লাহর কাছে কায়মনো বাক্যে দু’আ করলাম এবং অবিশ্বাস্যভাবে আল্লাহ সুবহানু তা’আলা আমার অন্তরে এই কথা ঢেলে দিলেন যে, আমার কালোজিরার ধোঁয়ার সাহায্য নেয়া উচিত।
কালোজিরাকে আমার ফুসফুস পর্যন্ত পৌছানোর জন্য আমি পানিতে কালোজিরার তেল মেশালাম এবং সূরা ফাতিহা ও মাওযাতাইন পড়ে এতে ফুঁ দিলাম (সূরা নাস এবং সূরা ফালাককে একত্রে মাওযাতাইন বলে)। অতঃপর নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তা টেনে নিলাম।
এটা আমাকে অসম্ভব স্বস্তি দিল। আমি এটা নিয়মিত করতে লাগলাম এবং আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগলাম। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ।
[বিঃ দ্রঃ এখানে গোল মরিচ পেশেন্ট নিজ থেকে ব্যবহার করেছেন। এটার ব্যাপারে সরাসরি হাদিস পাইনি, কেউ পেলে জানাবেন। যেহেতু উপকারী তাই ব্যবহার করা যেতে পারে। কি পরিমাণ, সে ব্যাপারে কোন কিছু জানতে পারি নি। তবে আপনাদের প্রয়োজন মতো(গোল মরিচ ও হলুদ) নিতে পারেন মানে একদম হালকা বা অল্প থেকে শুরু করতে পারেন]
অনুবাদক:-
দুই দ্বীনি ভাই একই সাথে অনুবাদ করে দিছেন, আর মা শা আল্লাহ্ লা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ একই অনুবাদ। দুই ভাইয়ের পরিশ্রম আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কবুল করুন আমীন।