ডেঙ্গু জ্বর – কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর - কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বর (Dengue) যেন হয়ে উঠেছে এক বিরাট আতঙ্কের নাম। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখন ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।  প্রতি বছর আনুমানিক ১০০-৪০০ মিলিয়ন ডেঙ্গু জ্বর সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। পত্রিকা আর টিভি চ্যানেল খুললেই ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে নিজের বাবা-মা, আত্মীয় পরিজন আর সন্তানের সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে দূর্ভাবনা কে প্রাধান্য না দিয়ে এখনই প্রয়োজন সচেতন হওয়া।

আর তাই আজ ডেঙ্গু নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যাতে করে এই ডেঙ্গু নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে যে সকল ভুল ধারনা রয়েছে তা যেন দূর হয়ে যায়। আপনি যদি আপনার নিজেকে ও পরিবারকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই অনুরোধ করছি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য। আশা করছি ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আপনার সকল জিজ্ঞাসার উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন।

আজ আমি ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে যে সকল বিষয় আলোচনা করতে যাচ্ছি তার মূল বিষয়গুলি নিচে তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০২৩ সালে

ডিজিএইচএস এর তথ্য অনুযায়ী: শুধুমাত্র রাজধানী শহর ঢাকাতে ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুনে ৫৯৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

২০২৩ জুলাইয়ের গত ২৫ দিনে মোট ৩২,৩৬৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এবং ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেঙ্গু সংক্রামিত রোগীদের মধ্যে, ৬৩.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬.২ শতাংশ মহিলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করার সময় এসে গেছে।

ডেঙ্গু/ডেঙ্গী জ্বর কী?

ডেঙ্গু/ডেঙ্গী জ্বর কী?

ডেঙ্গু জ্বর/ডেঙ্গী জ্বর মশাবাহিত রোগ, এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা মশা থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এই রোগটিকে break-bone fever বা হাড়-ভাঙা জ্বরও বলা হয়ে থাকে।   এই রোগটি মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে বেশী দেখা যায়।

এডিস (Aedes) নামক এই প্রজাতির স্ত্রী মশা এই রোগের জীবাণু বাহক। যেকোনো এডিস মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয় না যে মশা জীবাণু বহন করে, শুধু সেসব মশার কামড় থেকেই ডেঙ্গু হতে পারে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু বিষয়ক কর্মসূচির ব্যবস্থাপক এম. এম. আখতারুজ্জামান জানান ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব। এর শরীরে সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে, যা দেখে সহজেই এডিস মশা চেনা যায়।  এই ডোরাকাটা দাগ থাকায় একে টাইগার মশাও বলা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সচেতনতা বজায় রাখলে আর সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে নিজের জীবনকে বাঁচানো সম্ভব।

ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ ও লক্ষণ

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকের উপসর্গ থাকে না। কিন্তু এরপরেও কিছু  সাধারণ লক্ষণ দেখে আমরা অনুমান করি যে রোগীর ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।  এডিস মশা কামড় দেয়ার সাধারণত তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে রোগের উপসর্গগুলো দেখা যায়। 

ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

‘এ’ ক্যাটাগরি:

রোগীদের সাধারণ জ্বর থাকে। তাদের ঠিকমত খেয়াল রাখলে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে যায়। এই রোগীর লক্ষণগুলো হলো:

  • উচ্চ তাপমাত্রাসহ জ্বর (১০১॰ -১০৪॰ ফারেনহাট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে)
  • মাথা ব্যথা হতে পারে
  • অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে ও রুচি কমে যায়
  • চোখের পিছনের অংশে ব্যথা
  • অস্থি সন্ধি ও মাংসপেশির ব্যথা
  • পেটে ব্যথাও হতে পারে
  • বমি বমি ভাব
  • শরীরের চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে

‘বি’ ক্যাটাগরি:

রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। এই রোগীর লক্ষণগুলো হলো:

  • শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়, যেমন: চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত হতে ও কফের সঙ্গে।
  • নারীদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা মাসিক শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা
  • অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস হতে পারে

‘সি’ ক্যাটাগরি:

রোগীদের অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে যদি তাদের লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়। এমনকি তাদের ইসিইউ তে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হতে পারে, নাহলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগীর লক্ষণগুলো হলো:

  • ব্লাড প্রেসার অনেক কমে যাওয়া
  • প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়া
  • পালস কমে যাওয়া
  • রোগী হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে

উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুততার সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করতে দিতে হবে, এবং আপনাকে রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কি না।

ডেঙ্গু জ্বরের রোগ নির্ণয় পদ্ধতি বা ব্লাড টেস্ট

ডেঙ্গু জ্বরের রোগ নির্ণয় পদ্ধতি বা ব্লাড টেস্ট

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিম্নোক্ত পরীক্ষা গুলোর মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা হয়-

  • ডেঙ্গু NS1 অ্যান্টিজেন: এটি সংক্রমণের প্রথম দিকে ডেঙ্গু ভাইরাস সনাক্ত করার জন্য একটি রক্ত পরীক্ষা। ১দিনের মধ্যেই এই টেস্টটির রিপোর্ট পাওয়া যায়।
  • ইমিউনোগ্লোবুলিন এম (আইজিএম): এই পরীক্ষাটি রক্তে IgM (অ্যান্টিবডি) সন্ধান করে। পরীক্ষাটি প্রথমবার ডেঙ্গু  সংক্রমণ এবং দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু ভাইরাসের সাথে সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য করতেও সাহায্য করতে পারে। আপনি কখন এর রিপোর্ট পাবেন সেটি অ্যান্টিবডি সনাক্ত করতে ব্যবহৃত পদ্ধতির উপর নির্ভর করে, অনেক সময় ৩০মিনিটের মধ্যে (IgM রেপিড টেস্ট) আবার অনেক সময়  প্রায় 1-2 দিনের মধ্যে (IgM ELISA) পরীক্ষার ফলাফল পেতে পারেন।
  • ইমিউনোগ্লোবুলিন জি (আইজিজি): এই পরীক্ষাটি প্রাথমিক এবং পরবর্তী ডেঙ্গু সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য করতে করা হয়। সাধারণত IgG/IgM অনুপাত পরীক্ষা ব্যবহার করা হয়। এই টেস্টের রিপোর্ট পেতে আপনাকে কমপক্ষে সাত দিন বা তার বেশি অপেক্ষা করতে হতে পারে।
  • ডেঙ্গু আরএনএ পিসিআর পরীক্ষা: এটি একটি প্রাথমিক পরীক্ষা যা সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ডেঙ্গু ভাইরাস সনাক্ত করতে ব্যবহার হয়। এটি শুধুমাত্র সংক্রমণ নিশ্চিত করে না বরং ডেঙ্গু ভাইরাসের বিভিন্ন সেরোটাইপ সনাক্ত করতেও সাহায্য করে। পরীক্ষাটি ৯০%-৯৫% কার্যকর। এটি পরীক্ষার পর এক বা দুই দিনের মধ্যে আপনি রিপোর্ট পেয়ে যাবেন।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা এবং ডেঙ্গু হলে করণীয় কি এবং কি করা যাবে না

ডেঙ্গু জ্বর হলেই সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই।  আপনাকে আগে বুঝতে হবে যে আপনার এই জ্বর কোন ক্যাটেগরিতে পড়ছে।  আপনি সেই অনুযায়ী আপনার পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।  সাধারনত আমরা ২টি ভাবে ডেঙ্গু জ্বর এর চিকিৎসা নিতে পারি:

১. ঘরোয়া চিকিৎসা

যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই ডেঙ্গু রোগী বাসায় বসেই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য হয়ে যেতে পারেন তাই শুরুতেই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।  ঘর বসে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনার যে কাজগুলি করা উচিত, তা হলো:

  • অনেক বেশি বিশ্রাম নিন
  • প্রচুর পরিমান পানি পান করুন, অন্তত দৈনিক ৩-৪ লিটার
  • মুখে অরুচি থাকতে পারে, তাই ফলের জুস্ করে খেতে পারেন
  • বিশেষ করে লেবুর শরবত ও ডাবের পানি পান করুন
  • দুধ জাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ
  • পেঁপে পাতার রস করে খেতে পারেন, এতে রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
  • জ্বর খুব বেশি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ নিতে পারেন
  • এছাড়া, অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করুন। কিন্তু তৈলাক্ত, ভাজা ও অধিক মসলাযুক্ত  খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না।

এভাবে করে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি ৭-১০ দিনের মধ্যেই সুস্থ্য হয়ে যাতে পারেন।

২. হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা

অনেক ডেঙ্গু রোগীর জ্বরের সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত আসে এবং অনেকের আবার রক্তচাপ কমে যায় ও অচেতন হয়ে পরে।  এই সকল ক্ষেত্রে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

হাসপাতাল এ ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হবে। তিনি যে ভাবে করে আপনাকে পরামর্শ দিবেন আপনাকে ওই অনুযায়ী চলতে হবে।  এছাড়া মেডিসিন এর ক্ষেত্রে তিনি আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ঔষধ দিবেন।  এ সকল ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো মেডিসিন বলা সম্ভব না, কারণ এক এক জন রোগীর এক এক রকম সমস্যা থাকতে পারে।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে নিজের মনোবল ধরে রাখা এবং ডাক্তার এর পরামর্শ মেনে চলা।

আরও পড়ুন: জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

ডেঙ্গু হলে করণীয় কি এবং কি করা যাবে না

করণীয়

  • জ্বর হলেই এটি ডেঙ্গু না, আগে নিশ্চিত হন
  • প্রচুর তরল খাবার গ্রহন করুন
  • অধিক তৈলাক্ত ও মশলা খাবার থেকে বিরত থাকুন
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
  • যেকোনো ওষুধ গ্রহনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
  • কোন প্রকার ব্যথার ওষুধ না খাওয়া
  • নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন
  • ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজে রক্তের প্লাটিলেট পরীক্ষা করা উচিত নয়
  • পরিবারের সাথে থাকুন, হাসি খুশি থাকুন, মনোবল ধরে রাখুন

বর্জনীয়

  • উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত হওয়া যাবে না, ডেঙ্গু খুব সাধারন একটি রোগ
  • বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া
  • ডেঙ্গু কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়, তাই একা থাকা ঠিক নয়

কখন বুঝবেন ডাক্তার দেখতে হবে

আমি ইতিমধ্যেই বলেছি যে ডেঙ্গু জ্বর এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।  তবে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখামাত্রই আপনার উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া:

  • রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে
  • শ্বাসকষ্ট হলে
  • শরীরের যে কোনো অংশ থেকে রক্ত বের হলে
  • জন্ডিস দেখা দিলে
  • প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়

যেকোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে যা করণীয়-

  • বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করুন
  • কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমিয়ে রাখা যাবে না
  • ইনডোর ফুলের টব সবসময় পরিষ্কার রাখুন
  • অধিক ঘনবসতি এলাকা এড়িয়ে চলুন
  • মশা তাড়ানোর ঔষধ ব্যবহার করুন
  • রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন
  • বাসার বাইরে বের হলে মশা নিরোধক ক্রিম ব্যবহার করুন
  • সন্ধ্যার আগেই দরজা ও জানালা বন্ধ করে দিন

কিছু সাধারণ প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ?

-ডেঙ্গু জ্বর ছোঁয়াচে রোগ নয়।

প্রশ্ন: এডিস মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু জ্বর হয়?

-সাধারণত এডিস মশা কামড়ানোর ৪-১০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

প্রশ্ন: এডিস মশা কামড়ালেই কি আমার ডেঙ্গু হবে?

-এডিস মশা কামড়ালেই যে ডেঙ্গু জ্বর হবে এমনটা নয়। শুধুমাত্র ভাইরাস আক্রান্ত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে?

-ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিন থেকে ছয়দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?

-ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যায়।

উপসংহার

ডেঙ্গু কোন মরন ব্যাধির নাম নয় , ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। তাও সচেতনতার অভাবে এই রোগ বর্তমানে মহামারী তে রূপ নেয়ার পথে। ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুহার হ্রাস করতে প্রয়োজন সবার সচেতনতা। উপরিউক্ত বিষয়গুলো সবাই খেয়াল করে চললে আশা করা যায় আমরা এই উদ্বেগপূর্ণ অবস্থা থেকে নিস্তার পাব।

নিজের চারপাশ পরিষ্কার রাখুন, নিরাপদ ও সুস্থ্য থাকুন। লেখাটি ভালো লেগে থাকলে সকলের সাথে শেয়ার করুন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করুন।

Leave a Comment