অশ্ব বা পাইলস (Piles) হলো একটি তীব্র বেদনাদায়ক এবং জটিল রোগ গুলোর একটি। এটি মানুষের মলদ্বারের রোগ। পাইলস হচ্ছে ডাক্তারি ভাষায় হেমোরয়েড, পায়ুপথে বিদ্যমান রক্তনালীর কুশন যা মল নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
এটি যখনই কোন ধরনের উপসর্গের তৈরি করে যেমন মলদ্বার দিয়ে রক্ত পাত বা মাংসপিণ্ড মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসে তখন আমরা একে হেমোরয়েড বলে থাকি।
পাইলসের প্রকারভেদ (Piles Types)
পাইলস (Piles) সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে অভ্যন্তরীণ পাইলস এবং বাহ্যিক পাইলস।
অভ্যন্তরীণ পাইলস (Internal Piles)
ডেনটেট লাইনের উপর যে পাইলস সৃষ্টি হয় তাকে এই অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েড বা অভ্যন্তরীণ পাইলস বলে।
বাহ্যিক পাইলস (Piles External)
ডেনটেট লাইনের নিচে যে পাইলস সৃষ্টি হয় তাকে বাহ্যিক হেমোরয়েড বা বাহ্যিক পাইলস বলে। এই অবস্থায় সাধারণত মলদ্বারের বাইরে কিছুটা ফোলা থাকে এবং কিছুটা ব্যথা ও অসস্তি হতে পারে।
রক্তনালীর কুশনের ডেনটেট লাইন থেকে স্থানচ্যুতির উপর নির্ভর করে একে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
গ্রেড ১ (Grade 1)
স্থানচ্যুত হয়না কিন্তু শুধু রক্তনালীর কুশন গুলো ফুলে যায়। এই পর্যায়ে টাটকা লাল রক্ত দেখা যায় যা ব্যথাবিহীন এবং মলত্যাগের শেষে রক্ত যায় কখনো ফোটায় ফোটায় আবার কখনো ফিনকি দিয়ে যেতে পারে।
গ্রেড ২ (Grade 2)
নিম্নমুখী চাপ প্রয়োগে স্থানচ্যুত হয় এবং পরবর্তীতে তা আপনাকে পায়ুপথে ঢুকে যায়।
গ্রেট ৩ (Grade 3)
নিম্নমুখী চাপে স্থানচ্যুত হয় এবং তা হাত দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে পায়ুপথে ঢুকাতে হয়।
গ্রেট ৪ (Grade 4)
স্থানচ্যুত হয় এবং পরবর্তীতে পায়ুপথে ঢুকানো সম্ভব হয় না।পর্যায়ে মলত্যাগের বাধা সৃষ্টি হতে পারে অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা ঘা হয়ে যাওয়া পছন্দ করা এবং অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পাইলস কেন হয় (Piles Causes)
এই রোগের এখনও পর্যন্ত সঠিক কোন কারণ জানা না গেলেও যেসব বিষয়ে দায়ী বলে ধারণা করা হয়, সেগুলো হচ্ছে
- দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য বা ডায়রিয়া
- অনিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস
- শাকসবজি এবং আশ যুক্ত খাবার কম খাওয়া
- মলত্যাগে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ
- স্থুলতা
- বার্ধক্য
- পরিবারে কারও পাইলস থাকা
পাইলসের প্রতিরোধ (Piles Treatment)
পাইলসের (Piles) উপসর্গ দেখা দিলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এছাড়াও কিছু করণীয় আমরা এখানে উল্লেখ করলাম তা হলোঃ
- নিয়মিত পায়খানা করা ।
- পেটে হজম হতে চায় না এমন খাদ্য বর্জন করা ।
- হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা না করা
- নিয়মিত ঘুমান,
- অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা
- পরিমাণ মতো পানি পান করা।
- তরল এবং সহজপাচ্য খাদ্য খাওয়া।
- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
- অধিক মসলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করা
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আর আমাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ